সারাদেশে চলমান লকডাউনে সকাল ৯ বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিত্যপণ্যের দোকান ও কাঁচা বাজার খোলা রাখার সরকারের নির্দেশনা থাকলেও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কিছু কিছু ব্যবসায়ী রাত পর্যন্ত খোলা রাখছেন। মঙ্গলবার নিজ হাতে মাইক নিয়ে ওইসব ব্যবসায়ীদের কঠোর বার্তা দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মনজুরুল হক। বিকেল ৫টার পরে নিত্যপণ্যের দোকান ও কাঁচা বাজার বন্ধ রাখতে এবং সিএনজি চালিত ও ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা, মোটরচালিত রিক্সা মহাসড়কে চলাচলে করতে নিষেধ করেন তিনি। বাজারের অলিগলি ঘুরে সকল ব্যবসায়ী ও মহাসড়কে দাঁড়িয়ে সকল চালকের উদ্দেশ্যে বলেন নিষেধাজ্ঞার অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন বলে হুশিয়ারী দেন। এছাড়াও কাগজপত্রবিহীন, নবায়নহীন সকল ফার্মেসী মালিককে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মনজুরুল হক। এসময় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র জিএম মীর হোসেন মিরু, র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর ডিএডি আবু বকর ছিদ্দিক, চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ত্রিনাথসাহা, বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি আকতার হোসেন পাটোয়ারী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল জলিল রিপন, বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ খান শামীম ও যুবলীগ নেতা ইমাম হোসেন পাটোয়ারীসহ র্যাব, পুলিশের কর্মকর্তা, সংবাদমাধ্যমের কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য করোনা মহামারী সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেন। সারাদেশের ন্যায় চৌদ্দগ্রামেও লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব, থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও সংবাদকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু কিছু অসচেতন মানুষের একগোয়ামীর কারণে লকডাউন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের হিমসিম খেতে হয়। এদিকে মানুষের অসচেতনতার কারণে চৌদ্দগ্রামে বেড়েই চলছে সংক্রমণের হার। উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন। গত ৮দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯জন এবং মারা গেছেন ২জন। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মানুষের মৃত্য সংবাদ আসছে। তাই সকলকে নিরাপদ রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।