চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে প্রতিদিনই বাড়ছে মহামারী করোনা আক্রান্তের হার। গত আটদিনে এ উপজেলায় ৯০জন আক্রান্ত ও মারা গেছেন ০১ জন। গত ০১ জুলাই থেকে ০৮ জুলাই পর্যন্ত ১০৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারমধ্যে পিসিআর ল্যাব ৬০ জন ও র্যাপিড ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের এ ভয়াবহ চিত্র আসে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ০১ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ০৭জন ও মারা গেছেন ০১ জন, ০২ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ০৮ জন, ০৩ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ জন, ০৪ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ০৩ জন, ০৫ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ০৪জন, ০৬ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ১৩জন, ০৭ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ২৫জন, ০৮ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ১১জনসহ সর্বমোট ৯০ আক্রান্ত হয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাসিবুর রহমান সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, মাস্কের বিকল্প কিছু নাই। যেই ঘরে আক্রান্ত রোগী আছে, সেই ঘরের সকলকে ঘরে বাইরে মাস্ক পড়ে থাকতে হবে। সাধারণ জ্বর কাশি সর্দি হলে হাসপাতালের জরুরি নাম্বারে কল করে টেলিমেডিসিন সেবা নেওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ করেন। ০১৭৩০-৩২৪৪৬০ এ নাম্বারে কল করে যে কেউ আমাদের সেবা নিতে পারবেন। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হয়ে লকডাউনে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে করোনা সংক্রমন রোধে জনগনকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
গত ০১ জুলাই থেকে চলমান লকডাউনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় মানুষ কে ঘরে থাকার জন্য হ্যান্ড মাইকে বার বার অনুরোধ করছে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের এ অনুরোধ ও সরকারের নির্দেশনা কে উপেক্ষা করে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো ঘুরাঘুরি করতে স্বাছন্দবোধ করেন সাধারণ মানুষ। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দেখলে মানুষ লুকিয়ে থাকে আবার তারা চলে যাওয়ার সাথে সাথেই নিজেদের ইচ্ছে মতো ছুটছে। বৃহস্পতিবার চৌদ্দগ্রাম বাজারে এক দোকানী সাটার নামিয়ে কসমেটিক বিক্রির সময় হাতে নাতে ধরেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনজুরুল হক। এসময় দোকানীকে ২ হাজার ও ক্রেতা কে ৫শ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় র্যাব-১১ পিপিসি-২ এর ডিএডি আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটিদল ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করে।