চৌদ্দগ্রামে শাহারুল আলম অনাবিল নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। বর্তমানে ওই ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। সে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের সাতচর গ্রামের প্রবাসী রুহুল আমিন চৌধুরীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে স্থানীয় পদুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী শাহারুল আলম অনাবিল এ্যাসাইমেন্ট জমা দিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার বন্ধু হাসানকে মারধর করছিল কিশোর গ্যাং সদস্যরা। বন্ধুকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে ওই গ্যাং। একপর্যায়ে অনাবিলকে মৃত ভেবে পার্শ্ববর্তী জমিনে ফেলে পালিয়ে যায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। পরে স্থানীয়রা অনাবিলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অনাবিলের মা শাহেনা আক্তার জানান, অনাবিল এ্যাসাইমেন্ট জমা দিয়ে বের হওয়ার সময় তার বন্ধু হাসানকে মারধর করতে দেখে তাকে রক্ষা করতে যায়। এ সময় একই এলাকার দশম শ্রেণীর ছাত্র অনিক, আইয়ুব ও আরিয়ানসহ বেশ কিছু কিশোর গ্যাং সদস্য অনাবিলকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত ভেবে পাশের জমিতে ফেলে রেখে চলে যায়। বর্তমানে আমার ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেও তিনি জানান।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন ভুঁইয়া সোমবার জানান, অনাবিলকে স্কুলের বাহিরে বহিরাগত ও স্কুলের কিছু জুনিয়র শিক্ষার্থী আঘাত করে। খবর পেয়ে আমরা তাকে ফেনী হাসপাতালে দেখতে যাই। এ বিষয়ে পরিচালনা কমিটির জরুরী সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনাদেরকে জানাবো।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, অনাবিলের ঘটনা শুনেছি। তার পরিবারকে বলা হয়েছে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে। লিখিত অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।