আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মো. রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এদিকে ১৯ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির চেয়ারম্যান রাসেল, তাঁর স্ত্রীসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী গ্রাহক কামরুল ইসলাম চোকদার। তিনি ইভ্যালির পণ্য সরবরাহকারী ছিলেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ৪টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪২ টাকার পণ্য সরবরাহ করেন। কিন্তু ইভ্যালি এসব পণ্যের অর্থ পরিশোধ করেনি। এ ব্যাপারে একাধিকবার ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি।গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছে ইভ্যালির দেনা বেড়ে এক হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। র্যাব বলছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এমন তথ্য দিয়েছেন। র্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানান, গত ফেব্রুয়ারিতেও এই দেনার পরিমাণ ছিল ৪০৩ কোটি টাকা। গ্রাহকের এই টাকা কীভাবে ফেরত দেওয়া হবে, র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। সর্বশেষ দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনাও ছিল রাসেলের।