কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেছেন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রশাসনের একার পক্ষে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য অভিভাবকদেরকে আরও সচেতন হতে হবে। তারপরেও কোন মেয়ে যদি বাল্য বিবাহের শিকার হতে যায় তাহলে তারা যেন সরকারের জরুরী সেবা নাম্বারগুলোতে ফোন করে জানায়। তাহলে প্রশাসন দ্রুত বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে পারবে। নারীদেরকে আরও এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য তারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। সরকার নারী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত উপবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি গতকাল মঙ্গলবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস এবং বাল্য নিরোধ আইন-২০১৭ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভুঁইয়া হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মঞ্জুরুল হক, পৌর মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু, সহকারী কমিশনার ভুমি তমালিকা পাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম এ বাহার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার, চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোঃ আবু তৈয়ব, মহিলা বিষয়ক বীথী রাণী চক্রবর্তীসহ আরও অনেকে।
অপর সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান আরও বলেন, করোনা মহামারির কারণে আমাদের সন্তানরা লেখাপড়া থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থী মুখস্ত বলতে পারে কিন্তু দেখে পড়তে পারে না। আপনারা শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে আরও আন্তরিক হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কুমিল্লা শিক্ষার হার কমে যাচ্ছে, আমাদের মেয়েরা উচ্চ শিক্ষিত, মেয়েরা ঘরে বসে পড়ালেখা করছে, আর ছেলেরা লেখাপড়ায় অনেকাংশে পিছিয়ে পড়ছে।