চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আগুনে ৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার সকালে উপজেলার ঘোলপাশার জুগিরখিল গ্রামের আলমগীর হোসেনের বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। তথ্যটি নিচ্ছিত করেছেন, চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোঃ ফয়েজ আহম্মেদ। তিনি জানান, সকাল আনুমানিক পৌনে ৯ টার দিকে ঐ গ্রামের আলমগীর হোসেনের বসত ঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুন লাগে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন পাশ^বর্তি ঘরগুলোতে চড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে ১ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষণে আগুনে ৫ টি ঘর পুড়ে যায়।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল মান্নান বলেন, আমার চাচাতো ভাই আলমগীরের ঘরে সকালে বিদ্যুতের মেইন সুইচ বিস্ফোরণ ঘটার সাথে সাথে আগুন লেগে যায়্ এসময় ঘরের ভিতরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার এবং ফ্রিজও এক সাথে বিস্ফোরণ হয়। যার কারণে আগুনের তীব্রতা বেড়ে গিয়ে মুহুর্তের মধ্যে পাশ্ববর্তী ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
অপর ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল আউয়াল বলেন, আগুনে আমার সহ ৫টি পরিবারের ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গত কয়েকদিন আগে আমার একটি মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়েটি বেড়াতে আসার সময় তার সাথে কিছু স্বর্ণ ছিল। আগুনে ঘরের ভিতরে রাখা স্বর্নগুলো পুড়ে গেছে।
অন্য ক্ষতিগ্রস্ত মাসুদ বলেন, সবকিছু হারিয়ে এখন আমাদের কে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে। আগুনে আমাদের বাড়ির ৫ টি ঘর সম্পূন্ন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার সাথে নগদ টাকা, স্বর্নগহনা ও পাসপোর্ট সহ মূল্যবান মালামালও পুড়ে যায়্ এতে করে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্তদের আহাজারি
ঘোলপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একে খোকন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। বিষয়টি সাবেক রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক এমপিকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তার ঘোষনা দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মনজুরুল হক বলেন, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো নিদিষ্ট ফরমে আবেদন করলে তাদের জন্য সরকারী অনুদান দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।