স্টাফ রিপোর্টার
ফুল ও মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে নিজ বিদ্যালয়ে সংবর্ধিত হলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ও বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য কবি ও কথা সাহিত্যিক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। মঙ্গলবার চৌদ্দগ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়করা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে সংবর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি।
সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেএম খালিদ বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পরে এ নিয়ে কবিতা লিখে প্রতিবাদ করেছিলেন, আজকের সংবর্ধিত বরেণ্য কবি কামাল চৌধুরী। কবিতা ও কথা সাহিত্যের জন্য তিনি অনেক অবদান রেখেছেন। এজন্য সরকার দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক দিয়ে তাকে সম্মানিত করেছেন। তার কবিতা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী সংসদ সদস্য মুজিবুল হক এমপি বলেন, কবি কামাল চৌধুরী একজন মেধাবী। তার মেধা ও বিচক্ষণতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সম্মানিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর একজন আস্থাভাজন হিসেবে তিনি পরিচিত। অত্যন্ত সততার সহিত তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
সংবর্ধিত কামাল চৌধুরী বলেন, আজকের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সত্যি আমার জন্য একটি আবেগঘন দিন। যে বিদ্যালয়ের মাঠে আমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে, আমি এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। এখানে জড়িত রয়েছে আমার শৈশব ও কৈশর। আমার বাবা ছিলেন একজন ভাষা সৈনিক। পরিবার থেকে উৎসাহ পেয়েছি বলে আজকে আমি কবি হতে পেরেছি।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভুঁইয়া সভাপতিত্বে ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ফারুক আহমেদ মিয়াজির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল (অবঃ) অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত সচিব দেওয়ান সাইদুল হাসান, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, নবাগত চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেন, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রহিম, এফবিসিসিআই পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র জিএম মীর হোসেন মিরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রহমত উল্যাহ বাবুল, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম এ বাহার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার, চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শিব প্রসাদ দাস গুপ্ত, চিওড়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু নাসের খান, সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক হেলাল ও স্বাগতিক জগন্নাথ দীঘি ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবি কামাল চৌধুরীর ছোট ভাই আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজয়করা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থ থাকার কারণে তিনি আসতে পারেননি। তবে মোবাইল ফোনে তিনি বক্তব্য রাখেন এবং বিজয়করা স্কুল এন্ড কলেজের আইসিটি ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।